ওয়েব ডেস্ক : অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে কেউ কেউ নতুন পোষাক পড়ে, কেউ বা দোকানের পুজো বা বাড়িতে জমিয়ে খাওয়াদাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। ঠিক তখনই অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা পরিচালিত রবীন্দ্র নিকেতন ভবনে সমাজের ছিন্নমূল মানুষদের কথা চিন্তা করে এক মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করলেন হাবরা হাটথুবার প্রবীন বাসিন্দা মঞ্জু নন্দী। আজ শুক্রবার অক্ষয় তৃতীয়ার দুপুরে তাঁর উদ্যোগে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়িত করা হল বাড়ি ছেড়ে ভবঘুরে বৃদ্ধ, বৃদ্ধা-সহ কিছু আবাসিকদের। মেনুতে ছিল শরবত, ভাত, ডাল, চিপস, পটল পোস্ত, পনির এবং শেষ পাতে চাটনি ও মিস্টি, ফল এমনকি সামান্য ভোজন দক্ষিণাও তুলে দেওয়া হয়। প্রখর রোদে যখন সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ, সেই সময়ের কথা চিন্তা করে আবাসিকদের ঠান্ডা পানীয়ও দেওয়া হয়।
রবীন্দ্র নিকেতন ভবনে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় বিশ্ববন্দিত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাকে মনে করে ‘ভাগ করে খেতে হবে সকলের সাথে অন্নপান’। সাংবাদিক মানসিকতায় ধরা দিতে পারে সমাজসেবার ধর্ম সেটাই আজ বাস্তবে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল। পেশায় সাংবাদিক, মননে সমাজকর্মী তরুন নন্দীর মা মঞ্জু নন্দী-সহ পরিবারের ছোট থেকে বড় সকলেই উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সংগঠিত করেন। এই উদ্যোগে পারিবারিক বন্ধু হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক অমর চক্রবর্তী, উদয় শঙ্কর দাস, সমাজকর্মী দেবাশীষ মজুমদার-সহ অনেকেই। সব মিলিয়ে বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর পরিকল্পনা প্রসূত সুন্দর এই রবীন্দ্র নিকেতন উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার দুপুরে। এমন শুভ তৃতীয়া অক্ষয় হয়ে রইল অসহায় মানুষগুলির মননে ।