আশিস কুমার ঘোষ কলকাতা
শৈশব ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গে পাসপোর্ট টু লাইফ সারভাইভারশিপ পরিষেবার সূচনা করল ক্যান কিডস কিডস ক্যান সংস্থা। সেই সঙ্গে চাইল্ডহুড ক্যান্সার সারভাইভার মিট-এরও আয়োজন করেছে তারা। সোমবার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে পাসপোর্ট টু লাইফ পরিষেবার সূচনা উপলক্ষে ক্যান কিডস কিডস ক্যান-এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শৈশব ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ৩০০ ছেলেমেয়ে এবং তাদের বাবা-মা অংশগ্রহণ করেছে। এদিন ক্যান কিডস কিডস ক্যান সংস্থা দাবি করেছে যে, ক্লিনিক ফোরাম এবং ওয়ার্কশপের মাধ্যমে রোগ থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ছেলেমেয়েদের বিলম্বিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, স্বাস্থ্যের প্রভাব এবং দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা থেকে বিরত থাকা সম্পর্কে সংবেদনশীল এবং শিক্ষিত করার জন্য পাসপোর্ট টু লাইফ প্রোগ্রাম-এর ডিজাইন করা হয়েছে। ক্যান্সার জয়ী ছেলেমেয়েদের জন্য একটি অনলাইন এবং অফলাইন পাসপোর্ট তৈরি করেছে এই প্রোগ্রাম। এর ফলে তারা তাদের নিজস্ব রেকর্ডগুলো এ্যাক্সেস করতে পারবে এবং তাদের দেরিতে প্রকট হওয়া প্রভাবগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে। পাশাপাশি, সামাজিক সমর্থন জোটাবে এবং ফের একত্রিত হওয়ার জন্য একটি কমিউনিটি পোর্টাল তৈরি করবে।
ক্যান কিডস-এর সহযোগিতায় শৈশব ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়া ছেলেমেয়েরা এদিন তাদের রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা উপস্থিত শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরেছে এবং একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে। অন্যদিকে, এইসব ক্যান্সারজয়ী ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছে। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গে শৈশব ক্যান্সার- এর প্রভাব এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে বক্তব্য রাখেন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ তুফান কান্তি দলুই। পাশাপাশি, পাসপোর্ট টু লাইফ (পিটুএল)-এর উপর আলোকপাত করেন প্রফেসর ডঃ রাজীব দে। ক্যান কিডস-এর আঞ্চলিক প্রধান নবারুণ পান্ডা বলেন, ক্যান কিডস পশ্চিমবঙ্গের ১৪ টি ক্যান্সার চিকিৎসা হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। প্রাথমিকভাবে এনআরএস হাসপাতাল যেভাবে সহযোগিতা করছে, আমরা আশা করি সেভাবেই সমস্ত হাসপাতালে চিকিৎসা করা শিশুদের পিটুএল পরিষেবা থাকবে। যারা রাজ্যের বাইরে চিকিৎসা গ্রহণ করে তারা অনেকেই রোগমুক্ত হয়ে আবার স্কুল কলেজে যায় এবং সময় মতো চাকরিতে এবং পেশায় ফিরে আসে। পিটুএল প্রোগ্রাম পরিষেবা চিকিৎসার ফলোআপ, মনস্তাত্ত্বিক যত্ন এবং জীবনযাপনে ব্যাপক সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত এবং অনলাইন উভয় পরিষেবার মাধ্যমে চিকিৎসার পর্যায়ে থেকে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার পর্যায়ে পর্যন্ত একটি মসৃণ পথ নিশ্চিত করবে।