ওয়েব ডেস্ক : একটি ৫ বছর বয়সের মেয়েকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মেয়েটির বাবা-মা একটি চায়ের দোকান চালান। গত ২৪ মার্চ তারা পুলিশকে জানান যে, তাদের মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়েকে শেষবার বিকেল ৫টার দিকে দেখেছিলেন। তারপর তাকে খোঁজার চেষ্টা করেও আর পাননি। হোলির আগের দিন সবাই যখন হোলিকা দহন উদযাপন করছে তখন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ দিল্লির বাওয়ানা থানায় নিখোঁজ মেয়েটির বাবা-মা ফোন করেন। তারা জানান যে, তাদের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। বিকেল ৫টার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। একটি মামলা নথিভুক্ত করে যেখানে মেয়েটিকে শেষবার দেখা গিয়েছিল সেই এলাকায় সারারাত খোঁজাখুঁজি করে পুলিশ।
হোলির আগের দিন ওই এলাকায় কারখানা বন্ধ ছিল। পরদিন সকালে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। ফুটেজে একজন লোকের সঙ্গে মেয়েটিকে হাটতে দেখা যায়। মেয়েটির বাবা-মা ওই ব্যক্তিকে চিনতে পেরে তাকে তোতন বলে শনাক্ত করেন।
তোতনকে গ্রেফতার করতে পুলিশ তার কর্মস্থলে যায়। কর্মস্থলেই তোতন থাকত। তবে ততক্ষণে পালিয়ে গেছে সে। তাকে চিনত এমন কিছু শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, নিউদিল্লি রেল স্টেশন থেকে হাওড়াগামী পূর্বা এক্সপ্রেসে উঠবে তোতন। কিন্তু পুলিশ পৌঁছোনোর আগেই নিউদিল্লি স্টেশন থেকে বেরিয়ে যায় পূর্বা এক্সপ্রেস।
২৬ মার্চ পুলিশের একটি দল বিমানে কলকাতা এবং সেখান থেকে ট্রেনে আসানসোল রেলস্টেশনে যায়। পূর্বা এক্সপ্রেস আসানসোল এলে তাতে ওঠে পুলিশের দল এবং কিছুক্ষণ তল্লাশির পরই গ্রেফতার করে তোতনকে। ২৭ মার্চ তাকে দিল্লিতে নিয়ে আসে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে স্বীকার করে যে, ২৪ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেয়েটিকে সে ধর্ষণ করেছে ও খুন করেছে। এরপর মেয়েটির লাশ বাওয়ানার একটি কারখানায় লুকিয়ে রেখেছে। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর উদ্ধার হয় মেয়েটির লাশ। ঘটনাস্থলে একটি ব্লেড ও একটি ইটও পাওয়া যায়। অভিযুক্ত তোতনের বিরুদ্ধে ৩০২ (হত্যা) এবং ৩৭৬ (ধর্ষণের শাস্তি) ধারা-সহ পস্কো আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ আরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।