ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যে চলা বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে ইডি উদ্ধার করেছে ৩ হাজার কোটি। দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে ফোনে তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, ক্ষমতায় ফিরলে তৃণমূল নেতাদের হাতে লুণ্ঠিত গরিব মানুষকে টাকা ফেরাবেন। এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন। ভোট মরসুমে প্রতিশ্রুতি খারাপ নয়! এখানে প্রশ্ন দুটো। ১) কাদের টাকা ফেরাবেন প্রধানমন্ত্রী?
২) ভোট আসলেই কেন বিজেপি নেতাদের মুখে টাকা ফেরানোর কথা?

কয়েকটা উদাহরণ তুলে ধরা যাক।
১) ২০১৪- নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিলেন ক্ষমতায় এলে কালো টাকা দেশে ফেরাবেন। দেশের প্রত্যেক মানুষের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে দেবেন।
২) ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের তৎকালীন বিজেপি নেতা মুকুল রায় বিদ্যুতের মাশুল নিয়ে সরব হলেন। প্রতিশ্রুতি দিলেন, বিজেপি ভাল ফল করলে সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের মাশুল কমাবে। উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ৩৫ হাজার করে ফেরাবেন।
এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। কোনও টাকা কারওর অ্যাকাউন্টে আসেনি। হাজির ‘২৪-র ভোট। ভোটের চলতি মরসুমেও প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি; আর তারপরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী – বললেন, সিইএসসি-র একচেটিয়া বাজার বন্ধ করবেন। মাশুল কমিয়ে ৪ ভাগের এক ভাগ করবেন। মানে আবার সেই খুড়োর কল। বিদায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছেন, এসব জাস্ট জুমলা। মানুষ কি আর জুমলায় পা দেবে?