অমর চক্রবর্তী, কলকাতা
মধুরেন সমাপয়েত হয়তো হলো না। কিন্তু শেষ ম্যাচেও দেশকে অপরাজেয় রাখতে পারলেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন সুনীল ছেত্রী। অনেকেই জানেন প্রখ্যাত ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যের জামাই সুনীল ছেত্রী। সে কারণেই কলকাতাতেই বিদায়ী ম্যাচ চেয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলের আইকন। তাঁর ইচ্ছেমতোই কলকাতা তাঁকে রাজকীয় সম্বর্ধনা জানাল।
বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে ভারত বনাম কুয়েত ম্যাচ অমীমাংসিত ভাবে শেষ হওয়ার পর যুবভারতীতে দর্শকরা মেতে উঠল এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে। তাদের প্রিয় তারকা, ভারতীয় ফুটবলের সফলতম স্ট্রাইকার, অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হলো। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সুনীল ছেত্রীর হাতে স্মারক ও ফুল তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু প্রমুখ। এরপর একে একে কলকাতার তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান ও আইএফএ এবং সেনাদের তরফ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সুনীল ছেত্রীর বাবা-মা, স্ত্রী এবং শ্যালক সাহেব ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে মিলিটারি ব্যান্ডের বাজনার তালে তালে সুনীল ছেত্রী সাজ ঘরে ফিরে যান সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে। সুনীলের পাশাপাশি ফুটবলপ্রেমী মানুষের চোখেও তখন জল।
বিদায় সুনীল! তবে আক্ষেপ একটাই জীবনের শেষ ম্যাচে মধুর জয় এলো না। ১৯৮৭ সালে আর এক সুনীল। সুনীল মনোহর গাভাস্কার বিদায়ী ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৯৪ রানের স্মরণীয় ইনিংস খেলেছিলেন, বিদায়বেলায়ও উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা সুনীল ছেত্রী। এক অনন্য রেকর্ড। দেশের হয়ে প্রায় ১৫০টি ম্যাচে ৯৪ গোল করা ভারতীয় ফুটবলের আইকন সুনীল ছেত্রীর বিদায়কে জয় দিয়ে আরও একটু মধুর করে তুলতে পারলেন না তাঁর সহ খেলোয়াররা। গোলের সুযোগ পেয়েও অমীমাংসিতভাবে কুয়েতের সঙ্গে খেলা শেষ হলো। বিদায় সুনীল! তবে ফুটবল ছেড়ে সুনীল ছেত্রী আদৌ থাকতে পারেন কি না, ফুটবল প্রশাসনে না কোচিং এ আসেন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্যের জামাই এটাই এখন দেখার!