অভিরূপ চক্রবর্তী, অশোকনগর
অশোকনগর থানার গুমার নবপল্লী এলাকায় মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা! একই পরিবারের তিনজন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন। মৃতদের নাম দীপক রায়, পিয়া রায় ও তাদের কন্যা সন্তান মিষ্টি রায় (৮)। শুক্রবার স্থানীয়রা তাদের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে আসে অশোকনগর থানার পুলিশ। তবে কি কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা তা এখনও পরিষ্কার নয়! স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ৫ আগে বাংলাদেশ থেকে এসে এখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে এই পরিবারটি। এই পরিবারের প্রধান দীপক স্থানীয় একটি প্লাইউডের কারখানায় কাজ করতেন। আট বছরের শিশু কন্যা গুমার একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। কোনও দিন কোনও অশান্তি হতেও দেখেননি আশেপাশের বাসিন্দারা। কিন্তু তারপরেও কি করে এই মৃত্যু তা নিয়ে রীতিমতো ধন্ধে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও পুলিশের দাবি, একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। তাতে তাদের ঋণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা ভূপতি বাগচি জানান, নবপল্লী এলাকায় তাদের সংগঠন বেশ শক্তিশালী। তবে কখনও ওই পরিবারটিতে কোনও অশান্তি দেখা যায়নি। তাদের ঋণ থাকার কথাও তারা কখনও মুখ ফুটে বলেননি। তবে সপরিবারে আত্মহত্যার ঘটনাটি মর্মান্তিক। একই বক্তব্য হাবড়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুপি মজুমদারের। গুপিবাবু জানান, ওই পরিবারের ঘটনা তাকে নাড়া দিয়েছে। সবরকম ভাবে তারা ওই পরিবারের আত্মীয়দের পাশে আছেন। অশোকনগর থানার পুলিশ তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাদের সুইসাইড নোটটি। বাংলাদেশে তাদের আত্মীয় পরিজনের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সব মিলিয়ে মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনায় গুমা নবপল্লী এলাকায় আজ শোকের ছায়া নেমে আসে