ওয়েব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনি জনসভায় জনপ্লাবনে ভাসল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর। মঙ্গলবার দুপুরে অশোকনগর হরিপুর ময়দানে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতির পর গেরুয়া শিবিরের দাবি, বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রে এবার হারবেন তৃণমূল প্রার্থী তিনবারের সাংসদ ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদার। জয়ী হবেন বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার। যদিও এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার। তাঁর দাবি, বারাসাত কেন্দ্রে আবারও জিতবেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
প্রসঙ্গত, ৩৭ বছর পরে এদিন ফের দেশের প্রধানমন্ত্রী এলেন অশোকনগরে। ১৯৮৭ সালে এই শহরে এসেছিলেন দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি। তিন দশকেরও বেশি সময় পর প্রধানমন্ত্রী এলেন অশোকনগরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এখানে আসা নিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উন্মাদনা। এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দেখার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় ছিলেন বহু মানুষ। এদিন অশোকনগরে দেখা যায় রীতিমতো মোদি ঝড়। তাঁর রোড শো করার কথা না থাকলেও অশোকনগর স্টেডিয়ামে হেলিপ্যাডে নামার পরে সেখান থেকে হরিপুরে মঞ্চে পৌঁছানোর পথে কয়েক কিলোমিটার নিজের গাড়ি থেকে শরীর বের করে হাতজোড় করে সকলের অভিনন্দন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি সভায় পৌছানোর সময়ই ধ্বনি ওঠে মোদি-মোদি।
এবারে এই মোদি ঝড়েই উড়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। তিন তিনবারের সাংসদ ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদার হারবেন। এদিন এমন দাবিই করেছেন বিজেপি নেত্রী নবনীতা চক্রবর্তী। যদিও বিজেপি নেত্রীর এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার। এদিন বিজেপি নেত্রী বলেন, মোদি ছাড়া ভারতবর্ষে আর কিছু আছে বলে আমি মানি না, জানিও না। আমার মনে হয়, যারা এখানে এসেছিলেন, তারা মোদির জন্যই এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গে মোদি, সারা ভারতবর্ষে মোদি। জনসুনামি দেখে মনে হচ্ছে বারাসাত ও বসিরহাট লোকসভা আসন বিজেপির জন্য সিওর হয়ে গেল। চুরি, দুর্নীতি আর মিথ্যে নিয়ে তৃণমূল। মানুষের ওপর অত্যাচারের সীমা পার করে গেছে। মানুষ এবার ঢেলে বিজেপিকে ভোট দেবে। অন্যদিকে, বিজেপি নেত্রীর এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তৃণমূলের জয়ের ক্ষেত্রে কঠিন কিছু হয়নি। জনসমাগম বলতে কি বোঝানো হচ্ছে আমি জানি না। মিটিং হয়েছে অশোকনগরে, লোক এসেছে রানাঘাট থেকে। বাসগুলো সব নদিয়ার বাস, কলকাতার বাস, হাওড়ার বাস, বিভিন্ন জায়গার বাস এসেছে। মিটিং করতে গিয়ে যদি এক কোটি টাকা ব্যয় করে, বাজে খরচ। অশোকনগরে আজ বাসে বাসে ছয়লাপ। কোনও বাসে ২০ জন, কোনও বাসে ৩০ জন। এভাবে বাইরে থেকে লোক এনে মাঠ ভরানো নিয়ে আমরা চিন্তাই করছি না। কাকলিদির জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।