ওয়েব ডেস্ক : অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে মোট ৭৩ জন মহিলা নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মহিলা সংসদ সদস্য, ১১ জন নির্বাচিত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে। ২০১৯ সালে লোকসভায় মহিলা সাংসদ ছিলেন ৭৮ জন। এবার মহিলা সাংসদের সংখ্যা কমেছে। ২০২৪ এর এই লোকসভা নির্বাচনে ৭৯৭ জন মহিলা প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করেছিলেন। এরমধ্যে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন ৬৯ জন এবং কংগ্রেস প্রার্থী ৩১ জন। জয়ী হয়েছেন বিজেপির ৩০ জন, কংগ্রেসের ১৪ জন, তৃণমূল কংগ্রেসের ১১ জন, সমাজবাদী পার্টির ৪ জন, ডিএমকের ৩ জন, জেডিইউ-এর দুজন এবং এলজেপি (রামবিলাস)-এর দুজন মহিলা প্রার্থী। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী
অষ্টাদশ লোকসভায় ১৩.৪৪ শতাংশেরও বেশি মহিলা সাংসদ নির্বাচিত হয়েছে। যদিও সপ্তদশ লোকসভায় মহিলা সাংসদ ছিলেন ৭৮ জন, মোট সংসদ সদস্যের ১৪ শতাংশেরও বেশি অন্যদিকে, ষষ্ঠদশ লোকসভায় মহিলা সদস্য ছিলেন ৬৪ জন এবং পঞ্চদশ লোকসভায় ছিলেন ৫২ জন।

এবার নির্বাচিত উল্লেখযোগ্য মহিলা সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির হেমা মালিনী, তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে এবং সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব। এরা প্রত্যেকেই নিজেদের আসনে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিক কঙ্গনা রানাউত এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের মেয়ে মিসা ভারতীও। এছাড়াও সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির ২৫ বছর বয়সী প্রিয়া সরোজ এবং ২৯ বছর বয়সী ইকরা চৌধুরী।

উল্লেখ্য, দলের মোট প্রার্থীর ৫০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল নাম তামিলার কাটচি পার্টি। লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) এবং এনসিপি প্রতিটি দলই ৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল। ৩৩ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবং বিজু জনতা দল। অন্যদিকে আরজেডি ২৯ শতাংশ, তৃণমূল কংগ্রেস ২৫ শতাংশ এবং সমাজবাদী পার্টি ২০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বরে নতুন সংসদ ভবনে মহিলা সংরক্ষণ বিল,বা নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম পাশ হওয়ার পর এই নির্বাচনই প্রথম লোকসভা নির্বাচন। মহিলা সংরক্ষণ বিলের লক্ষ্য, লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ করা। জনগণনা এবং নির্বাচন ক্ষেত্রের পুনর্বিন্যাসের পর এই বিল কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।

110 Views