অমর চক্রবর্তী, অশোকনগর
গ্রাম পঞ্চায়েতের দপ্তরের ফ্যান,লাইট, কম্পিউটার এমনকি এসি পর্যন্ত চলছে সৌরশক্তিতে! বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ে এবার নতুন দিশা দেখালো উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরের বেড়াবেড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত । ঝা চকচকে আধুনিক ভবন নির্মাণ ও উন্নত পরিষেবা দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এই পঞ্চায়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে নতুন ভবন নির্মাণ সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার ফসল বলেই জানানো হলো পঞ্চায়েতের তরফ থেকে। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভবনের উদ্বোধন করলেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। নবনির্মিত সভাগৃহ এবং মাতৃ ও শিশু যত্নালয় নির্মাণ দেখে আপ্লুত বিধায়ক। এমনকি বিদ্যুৎ বিলের সাশ্রয় করতে এই ভবনে বসানো হয়েছে সোলার প্যানেল। উপপ্রধান শহিদুল দাবি করলেন, পঞ্চায়েতের প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের বাইরে বাড়তি সৌর বিদ্যুৎ বিক্রি করা হবে। গ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুবিধা প্রদানে এই নতুন ভবন নির্মাণ যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে জানানো হলো পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। এই নতুন ভবনে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে আধুনিকতার ছাপ। পঞ্চায়েতের প্রতিটি দপ্তরের জন্য আলাদা আলাদা করে পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে , যাতে করে অনেকটা সময় সাশ্রয় হবে গ্রামবাসীদের। কোনও প্রসূতি মা কিংবা দুধের শিশুকে নিয়ে কোনও মা পঞ্চায়েত অফিসে এলে তাদের যত্নের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন জায়গা। নামকরণ করা হয়েছে ‘কর্তব্য’। পঞ্চায়েত অফিসের সভা পরিচালনা কিংবা সাধারণ মানুষ ও পঞ্চায়েত কর্মীদের কাজের সুবিধার্থে একটি বড়সড় সভাগৃহ নির্মাণ করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, এই সমস্ত প্রকল্পের জন্য খরচ রয়েছে ২১ লাখ টাকা। এদিন বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েতের নতুন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে এসে পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনা দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী চান পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে। সেইসঙ্গে মহিলা ও শিশুদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ যথাযথভাবে এই বেড়াবেরি পঞ্চায়েত পালন করেছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, এদিনের অনুষ্ঠানে এসে তিনি মনে করেন এই পঞ্চায়েত যে কাজ করেছে তা অন্য পঞ্চায়েতগুলোর কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে । তিনি মনে করেন, পঞ্চায়েত প্রধান বা উপপ্রধান সম্পত্তি নয় বরং এই পঞ্চায়েত হল গ্রামবাসীদের সম্পত্তি। মানুষের আশীর্বাদে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে, তাই কোনও ঔদ্ধত্য নয়, বরং আরও বেশি করে মাথা নিচু করে হাসিমুখে মানুষের কাজ করতে হবে, এমন আহ্বানই জানান বিধায়ক।
এদিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণ গোস্বামী ছাড়াও তাঁর স্ত্রী তৃণমূল নেত্রী বৈশালী গোস্বামী। ছিলেন হাবড়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান, কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ হালদার, ফজলুর রহমান মল্লিক, গুপি মজুমদার, বর্ণালী ঘোষ, অপর্না দাস এবং বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান দীপক কাহার, উপপ্রধান শহিদুল ইসলাম-সহ একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান এবং সদস্যরা।