অভিরূপ চক্রবর্তী, অশোকনগর

হাবরা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমকি সরকারের স্বামী রাজীব সরকারের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হল অশোকনগরের বনবনিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে। বেশ কিছুদিন ধরেই দাম্পত্য কলহের জেরে আলাদাই থাকছিলেন রাজীব। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, রাজীব হতাশায় ভুগছিলেন। মদ্যপানও করতেন। পুলিশের ধারনা, হতাশার জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।

অশোকনগর থানার অন্তর্গত বনবনিয়া মিলন সংঘ এলাকায় সোমবার দুর্গন্ধ ছড়ানোয় পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। অশোকনগর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতের নাম রাজীব সরকার (৪৭)। তাঁর স্ত্রী রুমকি সরকার হাবরা তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ভাড়াবাড়িতেই কাজ করছিল নির্মাণ শ্রমিকরা। হঠাৎই দুর্গন্ধ ভেসে আসে। তারপর জানলা খুলতে দেখা যায় পচাগলা মৃতদেহ। তৎক্ষণাৎ বাড়ির মালিককে খবর দেয় নির্মাণ শ্রমিকরা। তারপরই বাড়ির মালিক এসে অশোকনগর থানায় ফোন করেন। অশোকনগর থানার পুলিশ এসে রাজীবের মৃতদেহ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। যদিও কিভাবে মারা গেল এ বিষয়ে কিন্তু এখনও পরিষ্কারভাবে কোনও কিছু জানতে পারা যায়নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলায় ফাঁস দিয়ে বা পানীয়ের সঙ্গে কিছু খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে রাজীব। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

বনবনিয়ায় যে বাড়িতে রাজীব থাকতেন মালিকের নাম সুমন সরকার। তারাও সেভাবে কোনও কিছু টের পাননি বলে জানান। হাবরা শহর কংগ্রেসের সভাপতি তথা হাবরা পুরসভার উপপুরপ্রধান সিতাংশু দাস জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এদের (রাজীব ও তাঁর স্ত্রী) মধ্যে সাংসারিক অশান্তি চলছিল। তবে ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। অন্যদিকে, হাবরার বিজেপি নেতা পার্থ প্রতিম সরকার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, তৃণমূল নেতারা ইচ্ছে করলেই দুজনকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধান সূত্র বের করতে পারত। কিন্তু সেদিকে তারা কোনও আগ্রহ দেখায়নি। সব মিলিয়ে কাউন্সিলরের স্বামীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাবরা এবং অশোকনগর জুড়ে।

95 Views