দেশের কৃষক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বাংলার কৃষকরা। এমন দাবিই করলেন সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠন জয় কিষাণ আন্দোলন-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা কৃষক আন্দোলনের নেতা যোগেন্দ্র যাদব। বুধবার সকালে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, কেন্দ্রের কালা কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গতবছর ২৬ নভেম্বর দিল্লির সীমানায় যে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়, আগামী ২৬ নভেম্বর তা একবছর পার করবে। এই আন্দোলনকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা ৪ ধাম দর্শন করতে দিল্লি যাচ্ছেন। এই ৪ ধাম হলো দিল্লি সীমানার ৪টি কৃষক বিক্ষোভ কেন্দ্র। সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজিপুর ও শাহজাহানপুর। ৪ ধামে গিয়ে কৃষক আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন সারা ভারতের কৃষকরা।
এছাড়াও যোগেন্দ্র যাদব বলেন, অনেকের মধ্যে ধারনা আছে যে, কৃষক আন্দোলন পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে পড়েনি। এই ধারনা দূর করতে জয় কিষাণ আন্দোলন বাংলায় ৩টি কিষাণ মহাপঞ্চায়েত সংগঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে কিষাণ মহাপঞ্চায়েত হয়েছে। বুধবার বিকেলে হুগলির পান্ডুয়ায় ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে কিষাণ মহাপঞ্চায়েত হবে। বাংলার কৃষকদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার জন্য মোদি সরকারের আনা ৩টি কালা কৃষি আইন বাতিল করার দাবিতে সর্বভারতীয় আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য এ রাজ্যের কৃষকদের আহবান জানাচ্ছে জয় কিষাণ আন্দোলন। সেই সঙ্গে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চিত আইনের দাবিতে সরব হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। অন্যদিকে, জয় কিষাণ আন্দোলনের সভাপতি অভিক সাহা বলেন, কেন্দ্রীয় কালা কৃষি আইন ও বিদ্যুৎ বিল বাতিলের দাবিতে, সার, ডিজেল, বিদ্যুৎ-সহ কৃষি উপকরণের দাম কমানোর দাবিতে, কেন্দ্রে ও রাজ্যে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে নিশ্চিত আইন তৈরির দাবিতে ও উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষক হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে আগামী ২৬ নভেম্বর কলকাতায় কৃষক সমাবেশ করবেন তাঁরা।