ওয়েব ডেস্ক : কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে যেসব কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে রাজ্যস্তরে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। আর প্রয়াত কৃষক পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হোক। দাবি জানালেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। শনিবার ৪০টিরও বেশি কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ সংযুক্ত কিষান মোর্চার বৈঠকের ঠিক আগে রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘এমএসপি বা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবি আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। তা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। কি হয় সেটা দেখা যাবে। এনিয়ে আজ কোনও সিদ্ধান্ত হবে না। আমরা আন্দোলন কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব, তা নিয়েই কথা হবে আজ।’ টিকায়েত জানান, শুক্রবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের সঙ্গে কৃষকদের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছোনো যায়নি। যদিও কৃষকদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। টিকায়েত বলেন, ‘আমরা চাই পাঞ্জাবের মতো প্রতিটি রাজ্য সরকার প্রয়াত কৃষকদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনের চাকরির ব্যবস্থা করুক।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত মাসে গুরু নানক জয়ন্তীতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেছিলেন, ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেবে তাঁর সরকার। শীত অধিবেশনে বিল এনে এই ৩টি আইন প্রত্যাহার করা হবে। সেই মতো সংসদে বিল এনে কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এমএসপি বা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গড়া হবে। গত ২৯ নভেম্বর সংসদের শীত অধিবেশনের প্রথম দিনেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ওই বিলে স্বাক্ষর করে কৃষি আইন বাতিলের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণও করেছেন। অন্যদিকে, ২৯ নভেম্বর তাদের নির্ধারিত কর্মসূচি ট্র্যাক্টরে সংসদ অভিযান স্থগিত করেছিল সংযুক্ত কিষান মোর্চা। মোর্চা বলেছিল, প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়ে তারা কৃষকদের দাবিদাওয়া জানিয়েছেন। এনিয়ে সরকার কি পদক্ষেপ করে তা দেখার জন্য ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন তারা। আজ শনিবার সংযুক্ত কিষান মোর্চা বৈঠকে বসবে। এরপর কৃষকদের আন্দোলন কিভাবে চলবে, তা ঠিক করবেন কৃষক নেতারা।