ওয়েব ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা চায় না কৃষকরা। বিদেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিতে কালি লাগাতেও চায় না তাঁরা। রবিবার একথা বলেছেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (বিকেইউ)’এর নেতা রাকেশ টিকায়েত। প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর গুরু নানক জয়ন্তীর দিন দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিতর্কিত ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিতর্কিত এই ৩টি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির সীমানায় বছরভর বিক্ষোভ অবস্থান করেছেন কৃষকরা। সরকার ১১ বার কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেও আইন প্রত্যাহার করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছিল। কিন্তু কৃষকদের লাগাতার আন্দোলনের চাপে শেষমেষ পিছু হটতে বাধ্য হয় সরকার। এরপর গুরু নানক জয়ন্তীর দিন প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে ঘোষণা করেন। সরকার সংসদের শীত অধিবেশনের প্রথম দিনই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাশ করে। সেই বিলে সইও করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েত ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা আমরা চাই না। আমরা চাই না বিদেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তিতে কালি লাগুক। এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা কৃষকদের অনুমতি ছাড়াই নেওয়া হয়েছে। আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে খেতে চাষ করি, কিন্তু দিল্লি আমাদের দাবির প্রতি নজর দেয় না।’
কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সাম্প্রতিক বিবৃতি নিয়ে টিকায়েত বলেন, কৃষিমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের উদ্দেশ্য কৃষকদের প্রতারণা করা ও প্রধানমন্ত্রীকেও অপমান করা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে তোমর বলেন, ‘আমরা কৃষি আইন করেছিলাম। কিছু মানুষ এই আইন পছন্দ করেনি। কিন্তু তাতে সরকার হতাশ নয়। আমরা আপাতত পিছিয়ে এসেছি। ফের আমরা এগিয়ে যাব, কারণ কৃষকরা দেশের মেরুদণ্ড। এই মেরুদণ্ড শক্তিশালী হলে দেশও শক্তিশালী হবে।’ যদিও পরে কৃষিমন্ত্রী জানান, তাঁর বিবৃতির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ফের কৃষি আইন আনার কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই। এদিন টিকায়েত হুমকি দিয়ে বলেন, কৃষি আইন আবার আনা হলে ফের কৃষক আন্দোলন শুরু হবে। উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৩ নভেম্বর সংসদের শীত অধিবেশনের প্রথম দিনেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাশ হয়। এরপর দিল্লির সীমানা থেকে বিক্ষোভ অবস্থান তুলে নেয় কৃষকরা। বাড়ি ফিরে যান তাঁরা।