সুকুমার রঞ্জন সরকার, আলিপুরদুয়ার
এক দশকের বেশি সময় ধরে বন্ধ আলিপুরদুয়ার সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। অর্ধনির্মিত অবস্থায় অনাদরে অবহেলায় পড়ে থাকা এই ভবনটি দিন দিন পরিণত হচ্ছে খন্ডহরে। এলাকার সংস্কৃতিপ্রেমী সহ সর্বস্তরের মানুষের মনে জমছে ক্ষোভ। তাঁরা জানান, অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলার মহকুমা শহর আলিপুরদুয়ারে একটি সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগী হন আলিপুরদুয়ারের তৎকালীন বিধায়ক নির্মল দাস। মহকুমা প্রশাসনের তৎপরতায় সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্র নির্মাণেরর জন্য শহরের কলেজ হল্ট এলাকায় জমিও পাওয়া যায় ও বিধায়ক তহবিলের অর্থানুকুল্যে শুরু হয় নির্মাণকাজ। একটি প্রেক্ষাগৃহ-সহ সাংস্কৃতিক গবেষণা কেন্দ্র, লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন লুপ্তপ্রায় ও বর্তমান বাদ্যযন্ত্র আর লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন চিত্রের স্থায়ী সংগ্রহশালা রূপে ভবনটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। নির্মাণ কাজ শুরুর পর ২০১০ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এই ভবন নির্মাণে অর্থ মঞ্জুরও করেন। পরবর্তীতে রাজ্যে পালাবদল ঘটে।
কিন্তু নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান আলিপুরদুয়ার শহরের কয়েকজন সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষ। এরমধ্যেই রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আলিপুরদুয়ারকে আলাদা জেলা হিসাবে ঘোষণা করেন। জেলা ঘোষণার পর জেলা সদর আলিপুরদুয়ারের সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষেরা আশা ছিল, এবার হয়তো জেলা সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ফের শুরু হবে। তাঁদের অভিযোগ, শহরে দৃষ্টিনন্দন প্রশাসনিক ভবন নির্মিত হলেও জেলার একমাত্র সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রের ভবন নির্মাণের কাজ আর শুরু হয়নি। সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের দাবি, দ্রুত ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করে সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রটি চালু করার জন্য উদ্যোগী হোন রাজ্যের সংস্কৃতিপ্রেমী মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আলিপুরদুয়ার জেলার মুকুটে আরেকটি গর্বের পালক যুক্ত করে জেলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক বিকাশের সুযোগ করে দিয়ে জেলাবাসীর আশা পূরণ করুন তিনি।