সুকুমার রঞ্জন সরকার, আলিপুরদুয়ার
ডুয়ার্সের বনাঞ্চল লাগোয়া বিঘার পর বিঘা কৃষি জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে চা বাগান। ফলে ভবিষ্যতে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃষিজমিতে চা বাগান গড়ে ওঠায় কমছে ধান-সহ শাকসবজি চাষের এলাকা। জমির মালিকরা জানান, বনাঞ্চল লাগোয়া জমিতে ধান বা আনাজ চাষ করে তারা লাভ করতে পারছেন না। কারণ, বুনো হাতি, হরিণ বানর ও পাখির হানায় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে ফসলের। তাই তাঁরা বিকল্প চাষ হিসাবে চা বাগান করাকেই বেছে নিয়েছেন। চা বাগান করে এরমধ্যেই লাভের মুখ দেখেছেন তাঁরা।
জানা গেছে, আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের ছিপরা, নুরপুর, চেপানী এলাকায় কয়েক’শ বিঘা কৃষিজমিতে জমির মালিকরা চা বাগান করেছেন। কৃষিজমির এভাবে চরিত্র পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন ভুমি সংস্কার বিভাগ। আলিপুরদুয়ার দুই নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক জানান, কৃষি জমিতে চা বাগান গড়ে তোলার প্রবণতা বন্ধ না করা গেলে অদূর ভবিষ্যতে কৃষিজ পণ্যের সঙ্কট অবধারিত। বন দফতরের জনৈক আধিকারিক জানান, বন্যপ্রাণীর হানায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের যথাযথ ক্ষতিপূরণ জমির মালিককে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তা সত্বেও কৃষকরা চা চাষে ঝুঁকছেন। এটা ভালো প্রবণতা নয়। এলাকার পরিবেশপ্রেমীরা জানান, কৃষকদের সচেতন করতে উদ্যোগ নেবেন তাঁরা।