জয়ন্ত কর্মকার, হাবরা, উত্তর ২৪ পরগনা
বড়সড় সাফল্য পেল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা থানার। বুধবার রাতে সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল পাচারকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দত্তপুকুর থানার মালিয়াপুর দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রবীর মন্ডলের স্ত্রী মর্জিনা বিবি গত ৪ দিন আগে বারাসাতের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। সেই কন্যাসন্তানকে ৪ দিন বাদে বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে ছুটি দেওয়া হয়। তারপরেই ওই কন্যাসন্তানের বাবা প্রবীর মন্ডল ও মা মর্জিনা বিবি সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে টাকার জন্য তুলে দেয় লাবনী দাসের হাতে। এর পরেই লাবনী দাস আর হাফিজা খাতুন দুজনে মিলে সদ্যোজাত শিশুটিকে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে হাবরায় নিয়ে আসে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাবরা থানার পুলিশ তাদের হাবরা জিরাট রোডে এলআইসি অফিসের সামনে থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধৃতদের কথায় অসঙ্গতি পায় পুলিশ। পরে অবশ্য ধৃতরা স্বীকার করে যে, কন্যাসন্তানটিকে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে হাবরায় নিয়ে এসেছিল।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হৃদয়পুর এলাকার একটি আয়া সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বছর তিরিশের লাবনী দাস। আগেও এই ধরনের কার্যকলাপ করেছে সে। এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে হাবরা থানার পুলিশ। মর্জিনা বিবি ও প্রবীর মন্ডলকে দত্তপুকুর থানার মালিয়াপুর দাস পাড়া এলাকা থেকে আটক করেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা স্বীকার করেন, এই শিশুটির চিকিৎসার সব খরচ বহন করেছে লাবনী দাস। তাদের বাড়িতে আরও ৪টি সন্তান আছে। তাই এই শিশুটিকে টাকার জন্য তুলে দিয়েছেন লাবনী দাসের হাতে। ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে বৃহস্পতিবার বারাসাত আদালতে পাঠিয়েছে হাবরা থানার পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে, তাদের খোঁজ করছে পুলিশ।