ওয়েব ডেস্ক : পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পরই একাধিক জায়গায় তুমুল বিক্ষোভ হয়। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভা এলাকাতেও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা রেল ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এরপর কয়েকজন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা যোগ দেন কংগ্রেসে। তাঁরা কংগ্রেসের প্রার্থীও হয়ে যান। এবার বিজেপি ও সিপিএমের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। শনিবার অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর দফতরে তাঁর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি নেতা প্রকাশ সাহা ও বেশ-কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। এই যোগদান পর্বে বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা সমীর দত্ত, অনুপ রায়, অতীশ সরকার প্রমুখ।
তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলের নেতৃত্ব ব্যবস্থা নেবে বলে এদিন জানান নারায়ণ গোস্বামী। তিনি দাবি করেন, পুরভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের পশ্চিমবাংলায় অবস্থানটা কোথায়? কংগ্রেস বলে কিছু আছে নাকি? আমরাই আসল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই হলেন আসল কংগ্রেস। কংগ্রেস মানে সিপিএমের লেজুরবৃত্তি করা নয়।’ এখানে বাম কংগ্রেস জোট হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা সিপিএমের বি টিম। তিনি জানান, এদিন বিজেপি ও সিপিএমের বেশকিছু কর্মী-সমর্থক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। বিজেপি নেতারা দিল্লি ফিরে গেছেন বলে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেন তিনি। এছাড়াও বামেদের থিম সংকেও কটাক্ষ করে বিধায়ক বলেন, মানুষ উন্নয়ন দেখেন। ওসব দেখেন না। এছাড়াও বলেন, এখানে বিরোধী সেই অর্থে পাওয়া যায়নি। তাই ২৩টি ওয়ার্ডেই বড়ো ব্যবধানে জয়ের ক্ষেত্রে আশাবাদী বলে জানান তিনি।