অভিরূপ চক্রবর্তী, হাবরা, উত্তর ২৪ পরগনা
অগণিত মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে গেলেও মিলছে না কোনও স্বীকৃতি। উলটে তাঁদের পেশা বন্ধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাই সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন গ্রামীণ ডাক্তাররা। এই দাবি-সহ গ্রামীণ ডাক্তারদের একাধিক দাবিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার হাবরার কলতান অনুষ্ঠানগৃহে বার্ষিক সভা করল হাবরা গ্রামীণ ডক্টরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এদিন এই সভায় অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা তাঁদের প্রতি অবিচারের বিরুদ্ধে সরব হন। ২৭ ফেব্রুয়ারি পুরসভা নির্বাচনের আগে তাঁদের বিরুদ্ধে যদি অবিচার চলতে থাকে, তবে তাঁরা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন কিনা, ভাবতে হবে বলে সরাসরি হুমকি দেন গ্রামীণ চিকিৎসক সংগঠন।
প্রসঙ্গত, সারা রাজ্যে কয়েক লক্ষ গ্রামীণ চিকিৎসক আছেন। সাধারণ মানুষকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেন তাঁরা। অভিযোগ, বিভিন্ন রকম ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষত, যে এমবিবিএস ডাক্তাররা রাতবিরেতে রোগীদের পরিষেবা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন, তারাই গ্রামীণ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই চক্রান্তে সামিল হচ্ছেন বলে দাবি গ্রামীণ চিকিৎসকদের। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরও তাঁরা বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা হচ্ছেন বলেও অভিযোগ। এই হেনস্তা ও অবিচার বন্ধ না হলে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে তাঁরা অংশ নেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন গ্রামীণ চিকিৎসকদের সংগঠন। এদিন হাবরা গ্রামীণ ডক্টরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীরন চক্রবর্তী জানান, তাঁরা প্রতিদিন রীতিমতো অপমানিত হচ্ছেন। আর তার জন্যই ভোট বয়কটের মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।