ওয়েব ডেস্ক : ২৫ মে নকশালবাড়ি দিবস। বুধবার নকশালবাড়ি দিবসে শহিদ স্মরণ করলেন বামপন্থী নেতা-কর্মীরা। সত্তর দশকে বৃহত্তর বারাসাত অঞ্চলে যে ৩২ জন নকশালপন্থী ছাত্র-যুবকর্মী শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশে এদিন বিকেলে বারাসাত স্টেশন লাগোয়া দুধবাজার এলাকায় একটি শহিদ স্মরণ কর্মসূচি সংগঠিত করেন নকশালপন্থীরা। শোক জ্ঞাপন, শহিদ বেদিতে মাল্যদান ,শহিদ স্মৃতিতে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর উদ্বোধনী গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন স্বপন চক্রবর্তী। সভায় বক্তব্য রাখেন বর্ষীয়ান বামপন্থী নেতা কমরেড দুলাল চ্যাটার্জী, মল্লিনাথ গাঙ্গুলী, শৈলেন ভট্টাচার্য (ক্যাপ্টেন), সুপ্রিয় চৌধুরী ও নির্মল ঘোষ।
এছাড়াও এই সভায় কবিতা পাঠ করেন শোভনা নাথ ও কৌশিক দাশগুপ্ত।গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন শান্তনু ভট্টাচার্য, তিথি ও আত্রেয়ী। এখনও পর্যন্ত সংগৃহীত সত্তরের ৩২ জন শহিদের নামের তালিকাও এদিন প্রকাশ করেন নকশালপন্থীরা। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে বৃহত্তর বারাসাত অঞ্চলে শহিদ নকশালপন্থীদের মধ্যে রয়েছেন গৌতম সরকার, সুদীপ সেন (রিন্টু), সত্যেন্দ্র সরকার (সেতু), খোকা, কৃষ্ণ, প্রশান্ত মুন্সি, রামু, তারক চক্রবর্তী, শিবু, সরোজ ঘোষ, নিখিলেশ মুখার্জী, অমরেশ মুখার্জী, বাদল সুর, লোকেশ চক্রবর্তী, কমল চক্রবর্তী, বাসুদেব ঘোষ, স্বপন ইন্দু, বিপুল বল, অলোক রায়চৌধুরী, পরেশ চক্রবর্তী (রঞ্জিত), মিহির চ্যাটার্জী, অমল কর, বাসু গাঙ্গুলি, রবীন, জলিল, কার্তিক চৌধুরী, সিরাজুল, মানিক, বুনো, সনাতন, সুব্রত চক্রবর্তী (ছানু) ও তরুণ ভদ্র।