অভিরূপ চক্রবর্তী
নিজের বিধানসভা এলাকার মাধ্যমিক উত্তীর্ণ কৃতী পড়ুয়াদের বাড়িতে গিয়ে তাদের উৎসাহিত করলেন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। সেই সঙ্গে তাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিলেন। সদ্য প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফলাফলে অশোকনগর বিধানসভা এলাকায় সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপকদের সংবর্ধনা দিতে সোমবার তাদের বাড়িতে যান বিধায়ক। এদিন অশোকনগর বয়েজ সেকেন্ডারি স্কুলের দুই কৃতী ছাত্র প্রসূন বসু ও বাপ্পা দত্ত (উভয়েরই প্রাপ্ত নাম্বার ৬৭৫)-এর বাড়িতে ফুল, মিষ্টি ও মেমেন্টো নিয়ে হাজির হন তিনি। পাশাপাশি অশোকনগর বানীপীঠ গার্লস হাইস্কুলের কৃতী ছাত্রী প্রত্যুষা দাস (প্রাপ্ত নাম্বার ৬৭৫) ও তুলি সেন (প্রাপ্ত নাম্বার ৬৭৪)-এর বাড়িতে গিয়েও বিধায়ক তাদের সংবর্ধনা দেন। এদিন পড়ুয়াদের প্রত্যেকের হাতে তিনি ফুল, মিষ্টি ও মোমেন্টো তুলে দেন। তাদের শুভকামনা করেন।
বিধায়কের দাবি, অশোকনগর জুড়ে সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপকদের বাড়িতে গিয়ে কেবলমাত্র সংবর্ধনা দেওয়াই নয়, আগামী দিনে এই পড়ুয়াদের ভবিষ্যত যাতে আরও সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, তাই তাদের উৎসাহিত করতে ও তাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছেন তিনি। বিধায়ক চান, আগামী দিনে তারা আরও ভালো রেজাল্ট করুক। অশোকনগরের নাম উজ্জ্বল করুক। সেই কারণেই এই ছোট্ট সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, এদিন বিধায়ককে সামনে পেয়ে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা তুলে ধরেন পড়ুয়ারা। অশোকনগর বাণীপীঠ গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী তুলি সেন খুবই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। খুব কষ্টের মধ্যে পড়াশুনা করেও সে মাধ্যমিকে ৬৭৪ নাম্বার পেয়েছে। কৃতী এই পড়ুয়ার বাবা নেই। তার মা তাকে খুব কষ্ট করে মানুষ করছেন। দুস্থ পরিবারের এই পড়ুয়ার পাশে থাকবেন আশ্বাস দেন নারায়ণ গোস্বামী। প্রসঙ্গত, নিজের বাড়িতে বসে বিধায়ককে পাশে পেয়ে খুশি হয়েছে কৃতী পড়ুয়ারাও।