সুকুমার রঞ্জন সরকার, আলিপুরদুয়ার
সাধারণ মানুষকে জাঁতাকলে পিষে মারছে বিজেপি সরকার। এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে দলের আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির কর্মীসভায় তিনি বলেন, ভোটের সময় বিজেপি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের ভোট নিয়েছে। ভোট মিটতেই বিজেপির আসল মুর্তি বেরিয়ে পড়েছে। পেট্রল, ডিজেল, গ্যাসের দাম বাড়িয়েই ক্ষান্ত না থেকে রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে জাঁতাকলে পিষে মারছে বিজেপি সরকার। নোটবন্দী নিয়েও কঠোর সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিজেপির নিশানায় রেখে আরও বলেন, ভোটের আগে বিজেপি বলেছিল বন্ধ চা বাগান খোলার কথা। কিন্তু একটা চা বাগানও খুলতে পারেনি। চা শ্রমিকদের মজুরি আগে ছিল ৬৭ টাকা। তৃণমূল সরকার তা বাড়িয়ে করেছে ২০২ টাকা কিছুদিনের মধ্যে তা আরও বাড়বে।
বন্ধ চা বাগানের চা শ্রমিকদের জন্য কাজ চলছে চা-সুন্দরী আবাসনের। উদ্বাস্তুদের দেওয়া হচ্ছে জমির পাট্টা। উত্তরবঙ্গের পর্যটনশিল্পকে দেওয়া হচ্ছে গুরুত্ব। বিজেপি চাইছে উত্তরবঙ্গকে ভাগ করতে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, বাংলাকে ভাগ করতে দেবেন না তিনি। এছাড়াও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তাঁর আমলে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় কি কি উন্নয়ন হয়েছে সেসব উল্লেখ করেন। আরও কি কি হবে তা নিয়ে বলেন, এতকিছু করার পরেও উত্তরবঙ্গের মানুষ বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিয়েছেন। তবু্ও তিনি বা তার সরকার উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে দরাজভাবে কাজ করে চলেছেন। সভা চলাকালীন গরমে এক কিশোরী ও দুইজন বয়স্ক ব্যক্তি অসুস্থতা বোধ করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণ বন্ধ রেখে তাঁদের সুশ্রুশায় হাত লাগান। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিকতায় মুগ্ধ হন কর্মীসভায় যোগ দেওয়া মানুষজন।