ওয়েব ডেস্ক : বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও বিজেপি নেতা নবীন জিন্দালের বিশ্বনবী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে গত দুদিন ধরে অগ্নিগর্ভ হাওড়া। বৃহস্পতিবার প্রায় ১১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিল জাতীয় সড়ক। যার জেরে নিদারুণ দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভ অবরোধ তুলতে হাতজোড় করে অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। অবরুদ্ধ জাতীয় সড়কে আটকে তীব্র গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে, জ্বালিয়ে দেয়। শনিবারও কিছু এলাকায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন এনিয়ে কড়া বার্তা দেন। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে। তারা দাঙ্গা করাতে চায়। কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না। এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট কষ্ট করবে জনগণ?’ প্রশ্নও তোলেন তিনি। এরপর কঠোর পদক্ষেপ করে নবান্ন। এদিনই হাওড়ার পুলিশ সুপার ও হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে এদিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বার্তা দিয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী (ভাইজান)। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের রাজীবপুরের কাছে ও আমডাঙ্গা কাছারি মোড়ে পরপর দুটি সভা করেন তিনি। অনুরাগীদের প্রতি ভাইজান বলেন, ধর্ম নিয়ে কেউ মন্তব্য করলে তার পাল্টা হিংসা ছড়ালে নবী ক্ষমা করবে না। নবীর প্রেম অন্য ধর্মকে ভালোবাসা শেখায়। এমনভাবে নবীকে আক্রমণ প্রথম নয়, আগেও হয়েছে। কিন্তু হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না। তিনি গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলনের আহ্বান জানান। ভাইজান বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভাষা দিয়ে প্রতিবাদ করুন। কেস করুন। কিন্তু কোনও রকম বিশৃঙ্খলা করবেন না। পাশাপাশি, বিশ্বনবী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিও জানান তিনি।