ওয়েব ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের পর বেশ কিছুদিন রাস্তায় দেখা গেলেও এখন উধাও ৯৫এ, এমএন থ্রি ও এমএন সিক্স বাস। অশোকনগর স্টেডিয়াম-নগরউখরা, নহাটা-বারাসাত ও বেড়িগোপালপুর-বারাসাত রুটে বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। অন্যদিকে, এই বাস পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত শতাধিক মানুষ কাজ হারিয়েছেন বলেও খবর। এইসব রুটের বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উত্তর ২৪ পরগনার নহাটা, হাবরা, অশোকনগর, পায়রাগাছি, বেড়্গুম, গোবরডাঙ্গা, পাঁচপোতা-সহ বেশকিছু এলাকা ও নদিয়া জেলার বেশকিছু এলাকার মানুষ এখন বিকল্প যান হিসেবে অটোর ওপর নির্ভরশীল হতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ, সড়ক পথের ব্যাপক উন্নতি হলেও দু’একটি সরকারি বাস ছাড়া গণপরিবহণ পরিষেবা বলে কিছুই নেই। এনিয়ে ক্ষুব্ধ এইসব এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের এনিয়ে কোনও হেলদোল নেই।
জানা গিয়েছে, করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতির পর বেড়িগোপালপুর-বারাসাত, নহাটা-বারাসাত ও হাবরা- নগরউখরা রুটে এমএন সিক্স, এমএন থ্রি ও ৯৫ এ বাস চলছিল। কিন্তু এইসব রুটের পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য পরিবহণ দফতর নয়া পারমিটে বাস চালানোর যে শর্ত দিয়েছে, তা বাসমালিকদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। লকডাউনে তাঁদের বিরাট আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ফলে তাঁরা আর এই ব্যবসা করতে আগ্রহী নয়। যদিও মোট ৪০টি বাসের মধ্যে এখন মাত্র ৪টি এমএন থ্রি চলছে হাবরা-নহাটার মধ্যে। আর ৩টি ৯৫ এ বাস চলছে হাবরা-নগরউখরার মধ্যে। এর ফলে শতাধিক পরিবহণকর্মী কর্মহীন হয়েছেন। কেউ কেউ অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। এমএন থ্রির চালক এখন টোটো চালাচ্ছেন বলেও খবর। আবার কেউ কেউ হকারিও করছেন। বাসকর্মীদের অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়ন আইএনটিটিইউসির নেতারা এনিয়ে একেবারেই উদাসীন।