ওয়েব ডেস্ক : যেমনটা ভাবা গিয়েছিল, বাস্তবে ঘটলও ঠিক তেমনই। প্রথমবার দেশের জার্সি গায়ে ক্যাপ্টেন হিসেবে মাঠে নেমে টিম গেমে জোর দিলেন নতুন ক্যাপ্টেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। নিজে শুধু পারফর্ম-ই করলেন না, দলের অন্যান্য সদস্যদের সেরাটা নিয়ে সহজ জয়ও এনে দিলেন। ফলে, ১৬ বল বাকি থাকতেই তুলনায় দুর্বল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় জয় তুলে নিল টিম ইন্ডিয়া।
ইংল্যান্ড সফরের প্রাক্কালে আয়ারল্যান্ডে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। দলে সেই ভাবে কোনও বড় নাম নেই। কার্যত ইন্ডিয়া বি টিম খেলছে পল স্টারলিং-গ্যারেথ ডেলানিদের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় হার্দিক পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বে রবিবারের প্রথম টি-২০ তে জাতীয় দল কেমন করে তা দেখতে মুখিয়ে ছিল দেশবাসী। বস্তুত, ক্যাপ্টেন হিসেবে পাণ্ডিয়া আইপিএলেই নজর কেড়েছিলেন। শুধু নজর-ই কাড়েননি তিনি, প্রথমবার আইপিএল খেলা গুজরাতকে টিম গেমের মধ্যে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন করান তিনি। এই অবস্থায় ক্যাপ্টেন পাণ্ডিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ যে আতসকাঁচের তলায় ফেলে দেখা হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত-ই ছিল।
তবে, ক্যাপ্টেন হিসেবে বিশেষ ভুল করেননি পাণ্ডিয়া। প্রতিপক্ষ তুলনায় দুর্বল হলেও, ম্যাচ জুড়ে অত্যন্ত সাবধানী বিচক্ষণ পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। বৃষ্টির কারণে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ ২০ ওভার থেকে কমে হয় ১২। আর সেই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আইরিশদের শুরুতেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ক্যাপ্টেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। ক্যাপ্টেন হিসেবে পাণ্ডিয়ার আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরুর দিকে যেমন দেশের নজর ছিল, সেইরকমই নজর ছিল আর এক ইয়ংস্টার, কাশ্মীরের উমরান মালিকের প্রতিও। ভিজে-স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ বুঝে পাণ্ডিয়া তিন পেসারের অস্ত্রে শান দেন। পরিবেশ কাজে লাগিয়ে সুইং আদায়ের জন্য তিনি মাঠে নামিয়ে দেন ভুবনেশ্বর কুমার, আবেশ খান ও উমরান মালিককে। ক্যাপ্টেনের আস্থাকে কাজে লাগিয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ও আবেশ খান শুরুতেই আয়ারল্যান্ডকে ঝটকা দেন। চতুর্থ বোলার হিসেবে বল করতে গিয়ে উইকেট তুলে নেন পাণ্ডিয়া নিজেও। তবে, প্রত্যাশা অনুযায়ী দাগ কাটতে পারেননি উমরান মালিক।
যদিও প্রাথমিক ঝটকা কাটিয়ে আয়ারল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায়। হ্যারি টেক্টর ও লোরকান টাকরের পার্টনারশিপের দৌলতে অনেকটা গুছিয়ে নিয়ে মোটামুটি একটা টার্গেট দাঁড় করায় ভারতের সামনে। কিন্তু ওপেনিংয়ে নামা ইশান কিষাণ ও প্রথমবার ইনিংস শুরু করা দীপক হুডা-র চওড়া ব্যাট আইরিশ বোলারদের জবাব দিতে শুরু করে। দলের ৩০ রানের মাথায় কিষাণ ফিরে যান। পরের বলেই ফিরে যান সূর্য কুমার যাদব। পরপর ২ উইকেট হারিয়ে ভারত চাপে পড়ে গেলেও, দীপক হুডার সঙ্গে জুটি বেঁধে ক্যাপ্টেন পাণ্ডিয়ার অধিনায়ক সুলভ ইনিংস দলের চাপমুক্তি ঘটায়। জশ লিটল-র বলে আউট হয়ে পাণ্ডিয়া যখন ডাগআউটে ফেরেন তখন ম্যাচ জিততে আর মাত্র কিছু রান বাকি। এই অবস্থায় হুডার সঙ্গে জুটি বেঁধে দীনেশ কার্তিক বা ডিকে দলকে জয় এনে দেন।