অপর্ণা সেনগুপ্ত দে
কাশফুল আর শিউলিতলা
জানিয়ে মোদের দিলো,
বছর পরে মা শারদা
বাপের ঘরে এলো।
শিশিরভেজা সবুজ ঘাসের
উপর দিয়ে হেঁটে,
দেখতে যেতাম কলাবউ-স্নান
সেই সে পুকুরঘাটে।
যেইখানেতে মা যে আমার
খুলে চুলের বেণী,
সকাল বেলায় স্নানটি সারেন
শুধুই একাকিনী!
যেথায় আজো দোলনা বাঁধা
সেই সে কাঁঠাল গাছে,
মা-ঠাকুমার রঙ-বেরঙের
কাপড় তারে নাচে।
দাদুর মুখে উচ্চারিত
“গায়ত্রী” মন্ত্রধ্বনি,
আজও যেন শুনতে গো পাই
মোর কর্ণে দু’খানি!
পুজোর সময় ছুটির দিনে
বাবার হাতটি ধরে,
পৌঁছে যেতাম স্টেশন-বাজার
একটু একটু করে।
মনে পড়ে আজও আমার
পুরানো সেই দিন,
যেদিন মোরা ছিলাম সবাই
সত্যিকারের রঙিন।
একবছরের অপেক্ষাতে
আসলো খুশির পূজা,
সবাই মিলে চলো এবার
জমিয়ে করি মজা … ।