দেবাশীষ মজুমদার
রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। শিলিগুড়ির মেয়রও ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলির সম্পর্ক রাজনীতিতে ‘র’ না বোঝা মানুষও জানেন।শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন, শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও জাতীয় কংগ্রেস জোট। বাংলার ক্রিকেট বোর্ডের মসনদে সৌরভ গাঙ্গুলি। সমস্ত নিয়ম কানুন ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদান্যতায় সিএবি প্রধান হলেন তিনি। বাংলার রাজনীতিতে দিদি মমতা ও ক্রিকেটার দাদার সম্পর্ক আবালবৃদ্ধবনিতা জানেন। পরে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রধান হলেন সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সেই কমিটির সচিব হলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ। গত বিধানসভার নির্বাচনের আগে জল্পনা ছিল যে, ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন সৌরভ। সেই খবরের জন্য বাংলার এ টু জেড সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধিদের ঠাণ্ডা লড়াই চলেছিল। স্বাভাবিক ভাবেই ভারতীয় জনতা পার্টির নেতানেত্রীদের সাথে সৌরভ গাঙ্গুলির একটা ভালো সম্পর্ক। এই সূত্রে ধরে নেওয়া যেতেই পারে। তবে এই মুহূর্তে সকলের চর্চার একমাত্র বিষয় সৌরভ গাঙ্গুলির পুনরায় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিআই)-এর সভাপতি হতে না পারা।বির্তক যাই হোক না কেন, একটা বিষয় পরিষ্কার সৌরভ গাঙ্গুলি বাঙালি আবেগ, ভালোবাসা জায়গা।তবে রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা তাঁকে ব্যবহার করেছেন, নাকি তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে সুবিধা নিয়েছেন সেই বিষয়ে না হয় আলোচনা করা দরকার। তবে একটা কথা পরিষ্কার যে, বেশিরভাগ তারকা ব্যক্তিত্বের মানুষ কখনও সরাসরি রাজনৈতিক রঙে রঙিন হতে চান না।