ওয়েব ডেস্ক : একের পর এক টোটোর ব্যাটারি চুরির ঘটনা ঘটছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে। সবক্ষেত্রে পুলিশের কাছে অভিযোগও হচ্ছে না। কারণ, পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়েছেন অনেকেই। দিনদশেক আগে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক টোটো মালিকের বাড়ি থেকে টোটোর ব্যাটারি চুরি যাওয়ার পর থানায় তিনি অভিযোগ জানান। আর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক টোটো মালিকের টোটোর ব্যাটারি চুরি যাওয়ায় বৃহস্পতিবার পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। যদিও টোটো মালিকদের একাংশ দাবি করেছেন যে, দুর্গাপুজোর পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই পুরসভা এলাকায় প্রায় ১৮ জন টোটো মালিকের বাড়ি থেকে ব্যাটারি চুরি গিয়েছে। টোটোর ব্যাটারি যথেষ্ট ভারি, তাই এভাবে চুরির ঘটনায় টোটো মালিকদের আশঙ্কা বড়সড় র্যাকেট এই কাজ করছে। ফলে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন টোটো মালিকরা।
প্রসঙ্গত, মূলত এই এলাকার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা ঋণ করে ব্যাটারি চালিত পরিবেশ বান্ধব গাড়ি (ই-রিক্সা) টোটো কিনে তা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এরা সবাই নিজের বাড়িতে টোটোর ব্যাটারি চার্জ দেন। এই ই-রিক্সার জন্য কোনও টোটো মালিকের গ্যারেজ বলে কিছু নেই। আগে টোটোর ব্যাটারি চুরির ঘটনাও ঘটেনি। চোরাইচক্র আগে এমন সক্রিয়ও ছিল না। বেশিরভাগ টোটো মালিকদের গ্যারেজ করার ক্ষমতাও নেই। তাই মাথায় হাত পড়েছে টোটো মালিকদের। কেউ কেউ ভাবছেন স্ত্রী বা পরিবারকে ঘরে রেখে বাইরে টোটোতে মশারী খাটিয়ে রাত কাটাবেন। কেউ ভাবছেন, ব্যাটারি আরও শক্তপোক্ত করে লাগানোর ব্যবস্থা করবেন। ক্ষুব্ধ টোটো মালিকদের একাংশের অভিযোগ, পুলিশ কেবলই লরি ধরে টাকা তোলে। অপরাধ দমনের দিকে পুলিশের কোনও নজর নেই। অন্যদিকে, যে টোটো মালিকদের টোটোর ব্যাটারি চুরি গিয়েছে, তাঁরা আর্থিক সহায়তার জন্য পুরসভার কাছে আবেদন জানাবেন বলে জানা গিয়েছে। টোটো মালিক অলোক কর্মকার ও টোটো চালক ভাস্কর দাস জানান, এদিন অভিযোগ জানানোর পর নড়চড়ে বসেছে পুলিশ। চুরির কিনারা করবেন বলে তাঁদের আশ্বস্থ করেছেন অশোকনগর থানার ওসি অয়ন চক্রবর্তী।