ওয়েব ডেস্ক : শতাধিক দুস্থ মানুষের হাতে শাড়ি ও ধুতি তুলে দিল অশোকনগর পুরোহিত চেতনা কল্যাণ সমিতি। গত রবিবার অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নিজস্ব দফতরে পুরোহিত চেতনা কল্যাণ সমিতির সম্মেলন মঞ্চ থেকে দুস্থদের হাতে শাড়ি ও ধুতি তুলে দেওয়া হয়। সারাবছর পুজো অর্চনা করে কাটাতে হয় পুরোহিতদের। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে অন্নপ্রাশন, গৃহপ্রবেশ, বিয়ে, পারলৌকিক কাজ-সহ হিন্দুদের নানান আচার অনুষ্ঠানে, নানান শুভ কাজে মঙ্গল প্রার্থনায় পুরোহিতরা কাজ করেন। এটাই তাঁদের একমাত্র পেশা। পুজো উৎসবের দিনগুলোতে যখন সবাই আনন্দে মেতে ওঠেন, তখন দিনরাত এক করে বিভিন্ন মণ্ডপে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেন পুরোহিতরা। নিজেদের পেশার উন্নতি ঘটাতে ও সামাজিক কাজে নিজেদের যুক্ত করতে তাই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা এলাকার পুরোহিতরা একজোট হয়ে গড়ে তুলেছেন পুরোহিত চেতনা কল্যাণ সমিতি।
এদিন সমিতির দফতরে আয়োজিত পুরোহিত সম্মেলনে যোগ দেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পুরোহিতরা। দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন তারা। সকালে জাতীয় পতাকা এবং পুরোহিত সমিতির পতাকা উত্তোলন আর জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়েই সম্মেলনের শুভ সূচনা হয়। সমিতির সদস্য বিপ্লব চ্যাটার্জির সুরেলা কন্ঠে ‘দেবী চণ্ডী’ গীতি আলেখ্য আর নিতাই আচার্য মহাশয়ের কন্ঠে ‘শ্রীমদ্ভাগবত গীতাপাঠ’ অনুষ্ঠানকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়। এছাড়াও অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। সম্মেলনের বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার, পুরপ্রধান পরিষদ সদস্য কৃষ্ণা চক্রবর্তী ও স্থানীয় কাউন্সিলার কাজল রায়। এদিন পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার পুরোহিতের বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধায় পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন। সন্ধ্যায় এলাকার প্রায় শতাধিক দুস্থ নাগরিকদের মধ্যে শাড়ি ও ধুতি বিতরণ করা হয়। ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এই সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটে।