ওয়েব ডেস্ক : মৃত মেয়ের ছবি বুকে আঁকড়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা। সুবিচারের দাবিতে গ্রামের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার সঙ্গে এসে থানার সামনে বসে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। জানা গিয়েছে, খুড়তুতো বোন বৈশাখীর আত্মহত্যার ঘটনায় বোনের প্রেমিক এবং প্রেমিকের পরিবারের বিরুদ্ধে গত ১ নভেম্বর অশোকনগর থানায় অভিযোগ জানান কেনারাম সরকার। সঙ্গে বোনের সুইসাইড নোটও দেন। অভিযোগ, কাচিয়ারা গ্রামের ১৮ বছরের তরুণী বৈশাখী সরকারের সঙ্গে গত ৩ বছর ধরে প্রেম সুবীর মণ্ডলের। প্রেমিকের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতও ছিল বৈশাখীর। শারীরিক সম্পর্কও হয় তাদের। কিন্তু বিয়ের কথা তোলায় সম্প্রতি বৈশাখীকে বেধড়ক মারধর করে সুবীর ও তার পরিবারের লোকজন।চুড়ান্ত অপমানিত হয়ে বৈশাখী আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় সুবীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন তার জ্যেঠতুতো দাদা কেনারাম সরকার। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। উলটে সুবিচারের দাবিতে বারবার থানায় আসার কারণে অশোকনগর থানার পুলিশ কেনারামের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।
এরপর জেলার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান কেনারাম। পাশাপাশি অভিযোগ জানান রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও। বোনের মৃত্যুর সুবিচার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি করেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাদের পরিবারকে যারা হুমকি দিচ্ছে, তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। কিন্তু ৭২ ঘণ্টা পরও অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় রবিবার সকালে অশোকনগর থানায় বিক্ষোভ দেখান বৈশাখীর প্রতিবেশীরা। অশোকনগর বাদামতলায় জমায়েত হয়ে বৈশাখীর মা-বাবা এবং প্রতিবেশী মহিলারা মিছিল করে থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। স্লোগান তোলেন বৈশাখীর মৃত্যুর সুবিচার চাই। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন, জবাব চাই জবাব দাও। উল্লেখ্য, মূল অভিযুক্ত সুবীর স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে বলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তোলেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। বেশ কিছুক্ষণ পর থানার ওসি অয়ন চক্রবর্তীর আশ্বাসে বিক্ষোভ জমায়েত তুলে নেন তারা।