ওয়েব ডেস্ক : আমাকে যারা ভোট দেননি আমি তাদেরও বিধায়ক, সাফ জানালেন হাবরার বিধায়ক তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পাশাপাশি, রেলের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি। বুধবার হাবরার নেহরুবাগ রেল কলোনিতে এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষ গৃহহারা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সেই গৃহহারাদের অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে যান মন্ত্রী। পরে হাবরা পুরসভায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন। এদিন তিনি বলেন, ‘মানুষের সুখের দিনে না থাকলেও দুঃখের দিনে আমাকে ডাকলে পাবেন। আমি হাবরার বিধায়ক। যারা আমাকে ভোট দিয়ে বিধায়ক করেছেন কিংবা আমাকে যারা ভোট দেননি আমি তাদেরও বিধায়ক। উন্নয়ন, সরকারি প্রকল্প ও মানুষকে সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমরা কোনও ভেদাভেদ করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল রেল কলোনিতে অগ্নিকান্ডের খবর পাওয়ার পর থেকে আমি শুধু ছটফট করেছি। সারারাত না ঘুমিয়ে মনিটারিং করেছি পুরসভা, থানা আর দমকল আধিকারিকদের সঙ্গে। তাই তো সাতসকালেই ছুটে এসেছি এখানে। আর রেল কর্তৃপক্ষ ওদের খোঁজ নেওয়া তো দূরের কথা ঘটনাস্থলে যায়নি। বিমাতৃসূলভ আচরণ করছে রেল কর্তৃপক্ষ। আমি হাবরায় প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে এলাকার মানুষকে কথা দিয়েছিলাম, সুখে দুঃখে আমি তাদের পাশে সব সময় থাকব। হাবরার মানুষের পাশে থাকা আমার দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। আমার নেত্রী রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আমাদের শিখিয়েছেন মানুষের পাশে থাকতে হবে। বিপদে পাশে থাকা, উন্নয়ন, সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কোনও ভেদাভেদ করি না। কে তৃণমূল, কে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস বা কে আমাদের ভোট দেয়, আর কে দেয়নি এসব দেখি না। আমরা শুধু দেখি সেই পরিবারটি পাওয়ার যোগ্য কিনা।’
গতকাল হাবরা রেল কলোনিতে আকস্মিক বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডের পর বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। হাবরা মডেল হাইস্কুলে অস্থায়ী শিবিরে এসে ওইসব অসহায় পরিবারদের সঙ্গে দেখা করার পর হাবরা পুরসভায় একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের বন ও অচিরাচরিত শক্তি উৎস বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সহযোগিতায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে নতুন করে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। যে কোনও রকম পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকবে বলে জানান তিনি।