ওয়েব ডেস্ক : ‘সরকারি ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও’ ,’ব্যাঙ্ক বিজাতীয়করণের অপচেষ্টা বন্ধ কর’ শ্লোগান সামনে রেখে ৬ দফা দাবিতে শনিবার বারাসাত কলেজ অডিটোরিয়ামে জেলা সম্মেলন করল বঙ্গীয় বিপিবিইএ বা প্রাদেশিক ব্যাঙ্ক কর্মচারী সমিতি। এই সম্মেলনের উদ্বোধক বিপিবিইএ’র চেয়ারম্যান কমল ভট্টাচার্য এদিন বলেন, আমাদের মূল দাবি, ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের যে হাওয়া সরকার তুলেছে, যে চেষ্টা শুরু করেছে তার বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। ডিফিট প্রাইভেটাইজেশন। কারণ আমরা মনে করি, বেসরকারিকরণ আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের জন্য মঙ্গলজনক নয়। সাধারণ মানুষের জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনবে। তিনি বলেন, ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রে থাকলে যে কভারডটা পাওয়া যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বাইরে চলে গেলে সেটা আর থাকবে না। দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে।
এদিন এক প্রশ্নের জবাবে কমল ভট্টাচার্য বলেন, সরকার ইচ্ছেকৃত ভাবে ব্যাঙ্ক শিল্পে শূন্যপদে নিয়োগ করছে না। একজন ব্যাঙ্ক কর্মচারী ৪ জনের কাজ করছেন। তবুও ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা সাধারণ মানুষকে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমাদের ভালো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে পরিষেবা ভালো পাওয়ার যায় ধারণার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। ব্যাঙ্ক বিজাতীয়করণের অর্থ সরকারের পছন্দের মানুষের হাতে অর্থনীতিকে তুলে দেওয়া। আমরা আমাদের মাইনে বাড়ানোর জন্য লড়ছি না, ব্যাঙ্ক বাঁচানোর জন্য, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য লড়ছি। তাঁর দাবি, কৃষির বিকাশ হয়েছে ব্যাঙ্কের জন্য। কৃষির বিকাশ না হলে শিল্প হবে না। ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তাঁর আহ্বান, ঐক্যবদ্ধ হও এবং সরকারের ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে লড়াই কর।
অন্যদিকে সম্মেলনের প্রধান অতিথি বিপিবিইএ’র সাধারণ সম্পাদক রাজেন নাগর জানান, তাদের মূল দাবি হলো, ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরন বন্ধ কর, ইচ্ছাকৃত ভাবে যারা ঋণখেলাপী তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নাও, শূন্যপদ পূরণ কর, ব্যাঙ্কমিত্রদের কর্মী হিসেবে মর্যাদা দাও, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ছাঁটাই বন্ধ কর। এই ৪টি দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। ধর্মঘট করেছি। সরকার দাবি না মেনে নিলে আবারও ধর্মঘট করব।