আশিস কুমার ঘোষ, কলকাতা

দেশের সরকার জলসম্পদের অপচয় ঘটিয়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, জল সমস্যা,খরা, বন্যা, জল দূষণ, খাদ্য সংকট ইত্যাদি বাড়িয়ে তুলেছে। জলসম্পদ বিভাগ প্রকৃতির থেকে প্রাপ্ত জল সংরক্ষণ ও নিরাপদ রাখার পরিবর্তে নষ্ট করে চলেছে। এই কাজের জন্য বিভাগটি এখন ৬০০০ বাঁধ নির্মাণ করেছে ৮০০x ৮০০ কিলোমিটার অর্থাৎ দেশের মোট ভূমির ২১ শতাংশ জল বাঁধের জন্য দখল হয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশের বনজ সম্পদের ৩০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। জলসম্পদ বিভাগ ভূগর্ভস্থ জলরাশি প্রতি বছর দেশের চাহিদার তুলনায় ৩০ গুন বেশি সংগ্ৰহ করছে । সেই জলের দাম যদি প্রতি লিটার ১পয়সা ধরা হয় তাহলে এই পরিমাণ ৮০ লক্ষ কোটি টাকা হবে, যা দেশের ৩ বছরের বাজেটের থেকেও বেশি। জল অধিদপ্তর যদি সেই বিপুল জলের ন্যূনঃতম সুবিধাটুকু জনগণকে প্রদান করতো তাহলে দেশে একটিও দরিদ্র মানুষ থাকতো না। গত মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবিই করেছেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শ্যামসুন্দর রাঠি। তিনি দেশের প্রয়োজনীয় জলের চাহিদার একটি জরিপ করে দেখেছেন প্রয়োজনীয় জলের পরিসংখ্যান ছিল ২৭০ কেএম এমডি। ট্যাঙ্ক টেকনোলজির মাধ্যমে মাত্র দুই বছরের মধ্যে এই পরিমাণ জল সংরক্ষণ করে সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। বাঁধে সংরক্ষিত ১০০০ লিটার জল থেকে মাত্র দুই -তিন লিটার সুবিধাভোগীরা ব্যবহার করেন, বাকি ৯৯৭ লিটার জল অপচয় হয়। এই জল অপচয় বন্ধ না হলে ভারতবর্ষ খুব শীঘ্রই মরূভূমিতে পরিণত হবে বলেও দাবি করেন শ্যামসুন্দর রাঠি। উল্লেখ্য, বিজ্ঞানী শ্যামসুন্দর রাঠি ওড়িশার বাড়িপদায় ১৯৯০ সাল থেকে দেশের খরা, বন্যা,জল দূষণ, জল সংকট, খাদ্য সংকট, বিশ্ব উষ্ণায়ন ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

48 Views