অভিরূপ চক্রবর্তী, অশোকনগর

দুষ্কৃতীদের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছেন অশোকনগর থানার ওসি চিন্তামনি নস্কর। অশোকনগর থানার দায়িত্বভার পাওয়ার পর থেকেই দুষ্কৃতীদের চিন্তার কারণ হয়ে উঠছেন তিনি। এর আগেও নিজস্ব রাফ এন্ড টাফ স্টাইলে মছলন্দপুর ফাড়ি বা গোবরডাঙ্গা থানা সামলেছেন। কিছুদিন আগে প্রচুর পরিমাণে চোরাই বাইক উদ্ধার করে চমক দিয়েছিলেন। তারপরে বেশকিছু উঠতি মাস্তানদেরও অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছেন। এবারে সিগারেটের প্যাকেটের মধ্যে ৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে ফের চমকে দিলেন। দুষ্কৃতীদের থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছুরি। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় অশোকনগরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

বুধবার রাতে অশোকনগর থানার দোগাছিয়া থেকে আনুমানিক সাড়ে ৬ লাখ টাকার সোনার বিস্কুট-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল অশোকনগর থানার পুলিশ। একটি সিগারেটের ফাঁকা বাক্সের মধ্যে সযত্নে সাজানো ছিল সোনার বিস্কুটগুলি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র কয়েক রাউন্ড গুলি এবং একটি ছুরি। তবে ঠিক কি উদ্দেশ্যে তারা এই দোগাছিয়া এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল, তা এখনও পুলিশের কাছে পরিষ্কার নয়। ধৃতদের গ্রেফতার করে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে এদিন বারাসাত আদালতে পাঠানো হয়। ধৃতদের নাম বিভূতি বিশ্বাস, শুভঙ্কর হালদার এবং রাজেশ ঠাকুর। বিভূতি বিশ্বাসের অভিযোগ, তিনি দত্তপুকুর স্টেশন এলাকায় ছিলেন। সে সময় একটি গাড়িতে করে রাজেশ ঠাকুর এবং শুভঙ্কর হালদার তাকে জোর করে দত্তপুকুরের পুলিশ বলে তুলে নিয়ে আসেন এবং দোগাছিয়া এলাকায় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ওই সময় সিগারেটের প্যাকেটে রাখা সোনার বিস্কুটগুলি তিনি জঙ্গলে ছুড়ে মারেন এবং চেঁচামচি জুড়ে দেন। তখনই স্থানীয় কয়েকজন যুবক তার পাশে এসে দাঁড়ায়। অশোকনগর থানায় খবর দেয় তারা। যদিও এসডিপিও (হাবড়া) প্রসেনজিৎ দাস-এর দাবি, তারা সবটাই তদন্ত করে দেখছেন। পুলিশের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি। ধৃতরা সকলেই ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী এবং এদের বাড়ি বসিরহাট এবং বনগাঁ পুলিশ জেলায়। সব মিলিয়ে পুলিশের তৎপরতার প্রশংসা করেছেন হাবরা ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রবীর মজুমদার।

566 Views