ওয়েব ডেস্ক : রেল কামরায় বর্ষবরণ করলেন, লক্ষ্মী-গনেশ পুজো করলেন একদল নিত্যযাত্রী। সেই সঙ্গে ভালোবাসা আর সম্প্রীতির বার্তাও দিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ভিন্ন এক চিত্র দেখা গেল বনগাঁ জংশনে। ট্রেনের দুইদিকে কলা গাছ এবং মঙ্গল ঘট বেঁধে রঙবাহারি ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুললেন একদল নিত্যযাত্রী। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের ডাউন বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকালকে এভাবেই সাজালেন তারা। তাদের হাতের জাদুতে ট্রেনের ভিতরও রঙিন ফুলে সেজে উঠল। এরপর নির্ধারিত সময়ে ট্রেনের সামনে নারকেল ফাটিয়ে ট্রেনের শুভ যাত্রার সূচনা করলেন ওই যাত্রীরা। তাদের উদ্যোগে চলন্ত ট্রেনের কামরার মধ্যেই হলো লক্ষ্মী – গণেশ পুজো। শাস্ত্র মেনে পুজো করলেন পুরোহিত।এরপর ট্রেন যাত্রীদের সমবেত সঙ্গীতে মুখরিত হয়ে উঠল ট্রেন কম্পার্টমেন্ট এবং পরে মিষ্টিমুখের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকালের সাধারণ যাত্রীরা।
পাশাপাশি, বিভিন্ন রকম সচেতনতামূলক প্রচারও করলেন তারা। যেমন, ‘চলন্ত ট্রেনের সাথে সেলফি তুলবেন না’, ‘মোবাইল কানে লাইন পারাপার করবেন না’, ‘টিকিট কেটে ভ্রমণ করুন’, ‘অবরোধ হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’, ‘ট্রেনের গেটে কেউ ঝুলবেন না’ ইত্যাদি। অভিনব এই বর্ষবরণের উদ্যোক্তা সুজিত কর, প্রদীপ ব্যানার্জি, নয়ন চক্রবর্তী,পার্থ কাশ্যপী, সঞ্জয় মন্ডল, সঞ্জয় দাস, মসিউর রহমান মন্ডল, গোপাল পাল, গণেশ দত্ত, দেবাশীষ চন্দ্র, অসীম চৌধুরী, সমীর সরকার, কৃষ্ণা মাটি, গোবিন্দ তরফদার, সুরজিৎ তফাদার, শিব শংকর পাল, অরূপ পালরা জানান, ট্রেন যাত্রীরা সকলে মিলে একটা পরিবার। সকলের মধ্যে ভালোবাসা এবং সম্প্রীতির সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে বিগত দিনগুলির মতোই তারা এই বর্ষবরণ উৎসব এবং যাত্রী সাধারণের সুরক্ষা কামনায় লক্ষ্মী- গণেশ পুজো করে আসছেন। কোভিড এবং অন্যান্য কিছু কারণে গত কয়েক বছর এই অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। এবার থেকে আবার শুরু হল এই বর্ষবরণ উৎসব। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে সকাল থেকেই ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে ছিল প্রবল উৎসাহ।