ওয়েব ডেস্ক : কোনও ব্যক্তিকে রক্ষা করা উদ্দেশ্য নয়, সংবিধান ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ইন্ডিয়া জোটের ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও সমাবেশ’ হবে। শনিবার এমনটাই জানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস আরও বলেছে, রবিবারের সমাবেশ থেকে ‘শক্তিশালী বার্তা’ পাঠানো হবে যে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের ‘সময় শেষ’। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানান, অন্যান্য প্রবীণ নেতাদের পাশাপাশি দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গ এবং প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি এই সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। তিনি বলেন, এই সমাবেশ কোনও ব্যক্তি বিশেষের সমাবেশ নয়, তাই একে লোকতন্ত্র বাঁচাও সমাবেশ বলা হচ্ছে। এটি কোনও একটি দলের সমাবেশ নয়, এর সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২৭-২৮টি দল। ইন্ডিয়া জোটের অন্তর্ভুক্ত সব দল এই সমাবেশে অংশ নেবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, জয়রাম রমেশের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কর্তৃক দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য এই সমাবেশ বলে দাবি করছিলেন আম আদমি পার্টির নেতারা।

এদিন রমেশ বলেন, বিরোধী জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স বা ইন্ডিয়া
গত ১৭ মার্চ মুম্বাইতে তার লোকসভা নির্বাচনের বিউগল বাজিয়েছিল। এই সমাবেশ হবে তার দ্বিতীয় নির্বাচনি বিউগল। তিনি বলেন, এই সমাবেশ বিরোধী জোটের মধ্যে সংহতি ও ঐক্যের বার্তাও দেবে। এছাড়াও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সমাবেশ থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক মেরুকরণ এবং কৃষকদের প্রতি অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবেন বিরোধী নেতারা। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার করে বিরোধীদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করার বিরুদ্ধেও সরব হবেন তাঁরা। রমেশের অভিযোগ, বিরোধী দলগুলিকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করার জন্য দুজন মুখ্যমন্ত্রী এবং বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গি প্রমাণ করে যে, প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলগুলিকে রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে চান।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনি বন্ডের মাধ্যমে তোলাবাজি এবং কংগ্রেসের ওপর কর সন্ত্রাস চালানোর বিষয়ও সমাবেশে উত্থাপিত হবে। তিনি বলেন, তাঁরা শুক্রবার আরও দুটি আয়কর বিভাগের নোটিশ পেয়েছেন। তিনি জানান, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, ডিএমকে-র তিরুচি শিভা, টিএমসি-র ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ অন্যান্যরা সমাবেশে অংশ নেবেন।
দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি এবং দিল্লির এআইসিসি ইনচার্জ দীপক বাবরিয়া বলেন, গণতন্ত্রের হুমকির বিরুদ্ধে একটি বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।