ওয়েব ডেস্ক : কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের নিশানায় রেখে রবিবার উত্তর প্রদেশের মীরাট থেকে বিজেপির নির্বাচনি প্রচারের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনই বিরোধীদের জোট ইন্ডিয়া জোটের নেতারা দিল্লির রামলীলা ময়দানে মেগা সমাবেশ করে মোদি তথা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ করেন তাঁরা। আর প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রথম নির্বাচনি সভায় এই বিরোধীদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে বলেন, লোকসভা নির্বাচন হবে দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক এবং দুর্নীতির শত্রুদের মধ্যে। তিনি পরিষ্কার বলেন, দুর্নীতি বিরুদ্ধে মোদিকে থামানো যাবে না। প্রত্যেক দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, তাঁর লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং তাই কিছু নেতা বাধা পাচ্ছেন। এরা সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনও পাচ্ছেন না… কিছু লোক তার কর্মে বিচলিত হয়েছেন এবং তারা ইন্ডিয়া জোটের ছত্রছায়ায় একত্রিত হয়েছেন।

১৯৭৪ সালে শ্রীলঙ্কাকে কাচাথিভু দেওয়ার কথা উল্লেখ করে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, কংগ্রেসের আর একটি ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ এখন প্রকাশ্যে এসেছে৷ ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অবস্থিত কাচাথিভু দ্বীপ জাতীয় নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও স্বাধীনতার পর কংগ্রেস তা শ্রীলঙ্কাকে দিয়েছে। এখন কংগ্রেস সরকারের অপকর্মের খেসারত দিচ্ছে ভারত। তিনি বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও মিরাট থেকেই প্রচার শুরু করেছিলেন তিনি। শুধুমাত্র একটি নতুন সরকারের জন্য নয়, বিকশিত ভারত-এর জন্য লোকসভা নির্বাচন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১০ বছর তিনি দেশের জন্য যে উন্নয়ন পরিকল্পনা করেছিলেন তা ট্রেলার মাত্র। যার ফলে ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে, ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। যখন আমরা তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হব, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে একটি নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণী ভারতের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি ১০ বছরের একটি রিপোর্ট কার্ড পেশ করে রাম মন্দির-সহ এনডিএ শাসন, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল, তিন তালাক নিষিদ্ধ ইত্যাদি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।