ওয়েব ডেস্ক : কংগ্রেসের নির্বাচনি ইশতেহার নিয়ে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে একটি নির্বাচনি জনসভায় তিনি বলেন, কংগ্রেসের ইশতেহারে মুসলিম লীগের ছাপ রয়েছে। এদিন মোদি বলেন, গতকাল কংগ্রেস যে ধরনের ইশতেহার প্রকাশ করেছে তা প্রমাণ করে যে, এই কংগ্রেস আজকের ভারতের আশা-আকাঙ্খা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মুসলিম লীগের যে চিন্তাভাবনা ছিল কংগ্রেসের ইশতেহারেও সেই একই চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন, কংগ্রেসের ইশতেহারে পুরোপুরি মুসলিম লীগের ছাপ রয়েছে। আর কিছুটায় রয়েছে বামপন্থার প্রভাব।

কংগ্রেস নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশের একদিন পরই এনিয়ে কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, দলের ইশতেহারে ফসলের ন্যুনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি প্রতিদিন ৪০০ টাকা করা, দেশব্যাপী জাতিশুমারি এবং অন্যান্য বিষয়ে আইনি গ্যারান্টি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। দেশের প্রাচীন এই দল ইশতেহারে পঞ্চ ন্যায় বা ‘ন্যায়বিচারের ৫টি স্তম্ভ’-এর উপর জোর দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ‘যুব ন্যায়’, ‘নারী ন্যায়’, ‘কিষান বিচার’, ‘শ্রমিক ন্যায়’ এবং ‘হিস্যেদারি বিচার’। এদিন কংগ্রেসের নির্বাচনি ইশতেহারকে নিশানায় রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি সরকার কোনও বৈষম্য ছাড়াই কাজ করে। আমাদের চিন্তাভাবনা হল সরকারি প্রকল্পগুলি প্রতিটি বিভাগ, প্রতিটি বর্ণ এবং প্রত্যেকের কাছে পৌঁছানো উচিত। সাধারণ নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস তাদের ইশতেহার প্রকাশের একদিন পরে এভাবেই আক্রমণ করেন মোদি।

ইশতেহারে কংগ্রেস বলেছে, তারা কৃষিপণ্যের জন্য একটি সঠিক আমদানি-রপ্তানি নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে, যা কৃষকদের স্বার্থ এবং উদ্বেগ রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে৷ এছাড়াও বলেছে,
এসসি, এসটি এবং ওবিসি-র জন্য সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের সীমা বাড়ানোর জন্য একটি সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করবে। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১৯ এপ্রিল। অন্য পর্বগুলি ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গণনা হবে ৪ জুন।