ওয়েব ডেস্ক : আবারও মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার। প্রসঙ্গত, এর আগেও স্বপন মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন। সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় থানা-সহ নির্বাচন কমিশনেও দায়ের হয় অভিযোগ। কিন্তু কোনও ভাবেই যেন লাগাম টানা যাচ্ছে না বিজেপির এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীকে ডাইনি বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তবে শনিবার অশোকনগর চড়ুইভাতিতে দলের কর্মী সম্মেলনে বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী স্বপন মজুমদারের গলায় ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে জুতো মারার নিদান। ২০১৬ শিক্ষকদের চাকরির প্যানেল বাতিল হওয়া এবং যেসব চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পায়নি তার দায়ভার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ওপর চাপিয়ে এদিন স্বপনবাবু রীতিমতো নিদান দেন মুখ্যমন্ত্রীকে জুতোপেটা করার। আর তার জন্য প্রয়োজনে কালীঘাটের বাড়িতে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। এর পাশাপাশি, সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র-সহ শাহজাহান প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন স্বপনবাবু। যখন প্রতিটি কেন্দ্রেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আজ রাজ্যের নানা প্রান্তে যেভাবে সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি হয়েছে তার সব দায়ভার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করা উচিত বলেই মনে করছেন এই বিজেপি নেতা। জঙ্গি কার্যকলাপের আঁতুড় ঘর তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেও অভিযোগ জানান স্বপন মজুমদার।

অন্যদিকে, সন্দেশখালি কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার আইন লাগু করে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করা উচিত বলে দাবি করেন বারাসাতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার। অশোকনগর রাধা কেমিক্যাল এলাকায় একটি দেওয়াল লিখনে অংশ নেওয়ার পরে এই মন্তব্য করেন স্বপনবাবু। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বারাসতের মহিলা নেত্রী নবনীতা চক্রবর্ত্তী, অশোকনগরের প্রাক্তন বিজেপি কনভেনর স্বপন দে, নীলরতন মিত্র, পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী প্রমুখ।
এখন দেখার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আবারও এহেনও কড়া ভাষায় কুরুচিকর মন্তব্য করা নিয়ে কি পদক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন?